চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বাছাই পর্বের ম্যাচে ইউক্রেনের ক্লাব কিয়েভ ও তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাখের মুখোমুখি হয়ে এক অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয় ইউক্রেন সমর্থকরা। কিয়েভ এক গোলে এগিয়ে যাওয়ায় একদল ফেনারবাখ সমর্থক রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থনে স্লোগান দেন।
ফলে, বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ম্যাচে। তবে, ফেনারবাখের সমর্থকদের উশৃঙ্খল আচরনে উয়েফার ডিসিপ্লিনারি রেগুলেশন্স ভঙ্গ হওয়ায় একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে উয়েফা। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের জনজীবন।
বিশ্বজুড়ে প্রভাব পড়েছে রুশ সেনাদের এই অভিযানে। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনও সম্মুখীন হয়েছে নানা ধরনের জটিলতার। রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলায় অংশগ্রহণে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের বাছাই পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ইউক্রেনের ক্লাব ডায়নামো কিয়েভ ও তুর্কির ক্লাব ফেনারবাখ। সে ম্যাচেই এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে কিয়েভের সমর্থকরা।
ইস্তানবুলের সুকরু সারাকোগ্লু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল। ম্যাচের শুরু থেকেই এগিয়ে যেতে থাকে কিয়েভ। তবে, শুরুতে লাল কার্ড দেখে পিছিয়ে পড়ে ফেনারবাচে। এরপর ভিতালি বুয়ালস্কির গোলে লিড নেয় কিয়েভ। গোলের পরই ফেনারবাখের ভক্তদের দিকে এগিয়ে যান বুয়ালস্কি। গ্যালারির দিকে এগিয়ে ফেনারবাখের সমর্থকদের উত্তেজিত করে তোলার চেষ্টা করেন বুয়ালস্কি।
এরপর এক অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় কিয়েভ সমর্থকদের। গ্যালারিতে থাকা ফেনারবাখ সমর্থকরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকে। এতে ম্যাচে সৃষ্টি হয় এক ভিন্ন পরিস্থিতির। তবে, মিনিট খানেক পরে কিয়েভ সমর্থকরা ইউক্রেনের সমর্থনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় ইউক্রেনের ক্লাবটি। ফেনারবাখে ভক্তদের এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে সক্ষম হয়েছে কিয়েভ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।